
স্মরণ
by Rabindranath Tagore
১৩০৯ সালের ৭ই অগ্রহায়ণ তারিখে রবীন্দ্রনাথের সহধর্মিণী মৃণালিনী দেবী পরলোকগমন করেন। তাঁহার স্মৃতির উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ যে কবিতাগুলি রচনা করেন সেগুলি মোহিতচন্দ্র সেন -সম্পাদিত রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থের ষষ্ঠ ভাগে (১৩১০) সংকলিত হয়— অধিকাংশ ‘স্মরণ’-পর্যায়ে, কেবল বর্তমান স্মরণ গ্রন্থের প্রথম তিনটি কবিতা ‘মরণ’-পর্যায়ে। পরে এই কবিতাগুলি একত্র করিয়া স্বতন্ত্র আকারে স্মরণ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। শ্রীসমীরচন্দ্র মজুমদার -কর্তৃক বিশ্বভারতী রবীন্দ্রসদনে উপহৃত রবীন্দ্ৰ-পাণ্ডুলিপি হইতে স্মরণের বর্তমান সংস্করণে কতকগুলি কবিতা-রচনার কাল ও স্থান নির্দিষ্ট হইয়াছে। যে স্থলে তারিখের সহিত সাল উল্লিখিত নাই সে ক্ষেত্রে ১৩০৯ বুঝিতে হইবে।
Chapters
- আজিকে তুমি ঘুমাও, আমি জাগিয়া রব দুয়ারে
- ভালো তুমি বেসেছিলে এই শ্যাম ধরা
- আজি প্রভাতেও শ্রান্ত নয়নে
- আপনার মাঝে আমি করি অনুভব
- আমার ঘরেতে আর নাই সে যে নাই
- এ সংসারে একদিন নববধূবেশে
- এসো বসন্ত এসো আজ তুমি
- ঘরে যবে ছিলে মোরে ডেকেছিলে ঘরে
- জ্বালো ওগো জ্বালো ওগো সন্ধ্যাদীপ জ্বালো
- তখন নিশীথরাত্রি; গেলে ঘর হতে
- এসো বসন্ত এসো আজ তুমি
- তুমি মোর জীবনের মাঝে
- তোমার সকল কথা বল নাই, পার নি বলিতে
- দেখিলাম খানকয় পুরাতন চিঠি
- পাগল বসন্তদিন কতবার অতিথির বেশে
- প্রেম এসেছিল, চলে গেল সে যে খুলি দ্বার
- বজ্ৰ যথা বর্ষণেরে আনে অগ্রসরি
- বহুরে যা এক করে, বিচিত্রেরে করে যা সরস
- মিলন সম্পূর্ণ আজি হল তোমা-সনে
- মৃত্যুর নেপথ্য হতে আরবার এলে তুমি ফিরে
- যত দিন কাছে ছিলে, বলো, কী উপায়ে
- যে ভাবে রমণীরূপে আপন মাধুরী
- বহুরে যা এক করে, বিচিত্রেরে করে যা সরস
- সংসার সাজায়ে তুমি আছিলে রমণী
- সে যখন বেঁচে ছিল গো তখন
- স্বল্প-আয়ু এ জীবনে যে-কয়টি আনন্দিত দিন
- হে লক্ষ্মী, তোমার আজি নাই অন্তঃপুর